বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:১৪ পূর্বাহ্ন

এক মহান বিপ্লবীর রক্তস্নাত আত্মত্যাগ

এক মহান বিপ্লবীর রক্তস্নাত আত্মত্যাগ

“যারা আমাকে দু:সাহসী রোমাঞ্চসন্ধানী বলেন, তাঁরা খুব ভুল বলেন না। কিন্তু আমি হলাম সেরকম দু:সাহসী- যে তাঁর আদর্শের বিজয়ের জন্য নিজের জীবনের ঝুঁকি নিতে পারে।” -চে’গুয়েভারা

১১ মাস গেরিলা যুদ্ধের পর, ৮ই অক্টোবর ’১৯৬৭ বলিভিয়ার ভ্যালেগ্রান্দে শহরের কাছে হিগুয়েরায় চে’গুয়েভারা আহত অবস্থায় ধরা পড়েন। ৯ অক্টোবর মার্কিন ঘাতক বাহিনী চে’গুয়েভারাকে বিনা বিচারে খুন করে এবং হাত দুটি কেটে ফর্মাল্ডিহাইডে চুবিয়ে প্রমাণ হিসাবে কিউবায় ফ্রিদেল ক‌্যাষ্ট্রোর কাছে পাঠিয়ে দেয়। বাকি দেহ গায়েব করে দেয়। ঘাতকদের তখনও বিচার হয়নি; এখনও বিচার হয়নি। ১৫ অক্টোবর ক‌্যাষ্ট্রোর বিশাল জমায়েতে-চে’গুয়েভারার মৃত্যুর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেন। ‘বলিভিয়ার ডায়েরি’- নামক গ্রন্থে হাভানায় বিষয়টি  প্রথম সংস্করণ  হিসেবে প্রকাশিত হলো।
১৯৯৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ১৯৯৭ সালের জুলাই পর্যন্ত নৃতাত্ত্বিক, সেনাবাহিনীর দল, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘ অনুসন্ধান চালিয়ে অবশেষে ১২ জুলাই ঐ ভ্যালেগ্রান্দে থেকেই আবিস্কার করল চে’গুয়েভারা এবং আরও পাঁচজন গেরিলার দেহাবশেষ। ঐ দিনই তা প্লেনে করে কিউবায় উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সান্তা ক্লারাতে সমাধিস্থ করা হয়।

শাফায়েত জামিল রাজীব
-সম্পাদক
একুশে টাইমস্ নিউজ মিডিয়া
এন্ড ইউটিউব চ্যানেল।

Print Friendly, PDF & Email

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2021
Design By Rana